মোঃ এনামুল হক লোহাগড়া স্টাফ রিপোর্টার:নড়াইল পৌরবাসী বর্ষাকালসহ অন্য সময়ে অল্প বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।১৯৭২ সালে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ সমস্যা অব্যাহত রয়েছে। নড়াইল পৌরসভার বেশির ভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এবারও বর্ষা মৌসুমে একাধিকবার জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। গত সোমবার ও মঙ্গলবারে ১৩-১৪ সেপ্টেম্বর বৃষ্টিতে পৌরসভার বেশির ভাগ শিক্ষা

প্রতিষ্ঠান,রাস্তাঘাট,দোকান,বাসাবাড়ি,অফিস চত্বরে পানিতে পরিনত হয়েছিল। অনেক ক্ষেত্রে ঘরের ভিতরে পানিতে পরিনত হয়ে ঘরের আসবাবপত্র বিনষ্ট হয়ে যায়। এমনকি অনেকেই রান্না করতে পারে নাই।জলাশয় আবদ্ধতার ভিতর দিয়ে যেতে হয়েছে অফিস বা তাদের কর্মস্হলে। নড়াইল পৌরসভার দুর্গাপুর,ভওয়াখালী, মাছিমদিয়া,কুড়িগ্রাম,

আলাদাতপুর ও দক্ষিন নড়াইল,মহিষখোলা, বরাশুলা,সিটি কলেজ পাড়াসহ বিভিন্ন একালায় এ সমস্যা দেখা যায়। এদিকে পৌর এলাকায় ৫৫ কিঃমিঃ ড্রেনেজ ব্যবস্থার প্রয়োজন হলেও আছে মাত্র ৩ কিলোমিটার। একারনে বৃষ্টির পানি বের হতে পারে না।বিষয়টি জানিয়েছেন পৌর কর্তৃপক্ষ।

অপরদিকে দুর্গাপুর,ভওয়াখালী, মহিষখোলা, রূপগঞ্জ,এলাকার ভুক্তভুগীগন বলেন ১৯৭২সালের পৌরসভা তবে এখনও কোন পরিবর্তন দেখি না বা কোন উন্নতির লক্ষন দেখছি না। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় নতুন নতুন ঘরবাড়ি গড়ে উঠলেও তেমন ভালো কোন রাস্তা হয় নাই। তবে বিল্ডিং এর পাশে বিল্ডিং একত্রিত হওয়ার কারনে পানি বের হতে পারে না। আবার রাস্তাগুলো এত সরু যে একটি বাইকেল নিয়ে চলতে গেলেও কষ্ট হয়।

পৌরসভার ভিতর কিছু এলাকা রয়েছে শুধু হাটার মতন জায়গা রয়েছে একটি লোক যেতে পারবে এমন অবস্থায় পরিকল্পনা বিহীন তুলছে ঘরবাড়ি। এছাড়া দুর্গাপুর, ভওয়াখালী, বরাশুলাসহ বিভিন্ন এলাকায় নির্মানাধীন রেল লাইনের জন্য ও বৃষ্টির পানি যেতে পারে না। ভুক্তভুগীরা বলেন এব্যাপারে রেললাইন প্রকল্প অসংশ্লিষ্টদের কোন ভূমিকা বা চোখে পড়ে না। নড়াইল পৌরসভার প্রথম নারী মেয়র আন্জুমান আরা বলেন,পৌর এলাকার ৫৫ কিলোমিটার ড্রেনেজ ব্যবস্থার প্রয়োজন হলেও বাকি আছে ৩ কিলোমিটার।

যার কারনে বৃস্টির পানি বের হতে পারে না।তিনি বলেন অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন তৈরি করা হয়েছে।শহর সংলগ্ন চিত্রা নদী ছাড়া পানি নিষ্কাশনের তেমন কোন মাধ্যম নেই।তিনি বলেন পৌরবাসীর কষ্ট হবে না এজন্য পরিকল্পিত ড্রেনেজ এর ব্যবস্থা গ্রহনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। গত ৩০মার্চ পৌরসভার ২ কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেন নির্মান কাজের উদ্ভোধন করেছিলেন।

শুভ উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে নড়াইল জেলা প্রশাসক,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, নড়াইল জেলা আরজেএফ সাঃসম্পাদক স্বপন কুমার দাসসহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।মেয়র বলেন নড়াইল শহরে মাষ্টার প্লানের মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলে বক্তব রাখেন। নড়াইল জেলা তিনটি পৌরসভার একই অবস্থায় পরিনত হয়েছে, নড়াইল সদর পৌরসভা,কালিয়া পৌরসভা,লোহাগড়া পৌরসভা।

জরুরী হয়ে পড়েছে এই তিনটি পৌরসভার ড্রেনেজ করা। লোহাগড়া পৌর এলাকার ভিতর উপজেলা চত্বর,লোহাগড়া বাজার,বেহাল অবস্থা,কালিয়া পৌরসভার ভিতর ও একই অবস্থা। শহরমুখী লোক এবং শহরে বসবাসরত লোকজনের চরম বিপর্যায়ে পড়তে হচ্ছে। প্রতিটি পৌর মেয়রের দৃষ্টিতে জনগনের সুবিধা অসুবিধা দেখার জন্য এবং তাদের প্রতি সু-নজর রাখা উচিত